আমি কেন ডাঃ জাকির নায়েক কে ভালোবাসি?

আমি কেন ডক্টর জাকির নায়েক (হাফিজাহুল্লাহ) কে ভালোবাসি?


Dr Zakir Naik
Dr Zakir Naik


 ডক্টর জাকির নায়েক সম্পর্কে ভিন্ন কিছু জানুন। ডক্টর জাকির নায়েকের বর্তমান সময়োপযোগী কিছু প্রশ্নোত্তর জানুন।


   ড. জাকির নায়েক মুসলিম উম্মাহর ঐক্য নিয়ে কাজ করেন। তিনি পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিশ্বাস করেন যে একজন মুসলিম নিজেকে শুধু "মুসলিম" হিসেবে পরিচয় দিতে পারে। তিনি "হানাফী", "সালাফী", "আহলে হাদিস" নামে মুসলিমদের ডাকা এবং গ্রুপ করার বিরোধী। যদিও অনেক হানাফী ঘরণার আলেম ড. জাকির নায়েককে "আহলে হাদিস" মনে করেন, কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারন উনার অনেক লেকচারে তিনি সালাফী/আহলে হাদিসের বিভিন্ন দলের সম্পর্কে বলেছেন এবং নিজেকে এসব দলাদলি থেকে দূরে রেখে "মুসলিম" হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কারন নিজেদেরকে "সালাফী"/"আহলে হাদিস" নামে ডাকার বিধান কোরআন-সুন্নাহ বহির্ভূত।

ডক্টর জাকির নায়েক দলমত নির্বিশেষে সব আলেমের সাথে মিশে থাকেন। তিনি কখনো দলাদলি করে নির্দিষ্ট আলেমদের সাথে থাকেন না। ড. জাকির নায়েকের সাথে যেরকম "সালাফী" আলেমদের সখ্যতা রয়েছে, সেরকম রয়েছে "তাবলীগ জামাত"-এর প্রসিদ্ধ আলেম মাওলানা তারিক জামিলের মতো আলেম, সম্পর্ক রয়েছে ইখওয়ানুল মুসলিমের আধ্যাত্বিক গুরু হিসেবে পরিচিত সূফী ঘরণার আলেম হাসান আদ দাদো আশ শানকীতীর মতো আলেম যাকে তিনি বর্তমান সময়ে উনার সবচেয়ে ফেভারেট তিনজন আলেমের প্রথমে উল্লেখ করেছেন। উনি সূফী ঘরণার আলেম হলেও বেদাতি না। কারন সূফীদের মাঝেও অনেক গ্রুপ আছে। অনেকে যখন আলেমদেরকে "খারেজী"/"মুরজিয়া" ট্যাগে ব্যস্ত, তখন ড. জাকির নায়েক এসব থেকে অনেক দূরে। কারন বর্তমান সময়ে উনার বাকি দুই ফেভারিট আলেম হলেন সৌদি আরবের দুই কারারুদ্ধ মাজলুম শায়েখ আব্দুল আযিয আত তারিফী এবং শায়েখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ। এটা থেকে আমাদের অনেক শিক্ষা রয়েছে।

আমাদের অনেকে বলে থাকেন #নারীরা #দাওয়াতী কাজ করতে পারবে না। একজন নারীর "দাঈ" ভূমিকা অনেক স্বীকার করতে নারাজ। কিন্তু ডক্টর জাকির নায়েক এমন কাউকে বিয়ে করতে  চেয়েছেন যিনিও একজন মুসলিমাহ দাঈ। অবশেষে তিনি এমন এক মহিলাকে বিয়ে করেছেন যিনি পুনের একটি ইসলামিক দাওয়া অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট। এটার থেকেও আমাদের উপলব্দির অনেক কিছু রয়েছে।

কোন দেশের শাসক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ডক্টর জাকির নায়েকও সৌদি আরবের ফতোয়া বিভাগের উচ্চ পরিষদের ফতোয়াটাই ফলো করেন যেখানে ইবনে বায, ইবনে উসাইমীন, আব্দুল্লার রাজ্জাক  আফিফি, আল গুদইয়ান প্রমুখ বড় মাপের শায়েখরা ভোট দেওয়ার পক্ষে বলেছেন এবং ইবনে উসাইমীন (রাহঃ) জালিমের বিরুদ্ধে ইসলামী কোন দলকে ভোট দেওয়া ফরয বলেছেন। islamqa.info/amp/bn/answers/107166?espv=1 ডক্টর জাকির নায়েকও বলেছেন যদি কোন দেশে নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী থাকে তবে অপেক্ষাকৃত ভালো জনকে ভোট দিতে হবে। আর যদি দুজনই অত্যাচারী হয় তবে যিনি কম অত্যাচারী তাকে ভোট দেওয়া যাবে।

ডক্টর জাকির নায়েক একজন মাজলুম দাঈ। দাওয়াতের কারনে তিনি হিজরত করেছেন। নিজ দেশ ছেড়েছেন। তিনি মনে করেন হিজরত করাটাও প্রফেটিক সুন্নাহ। যুগে যুগে এরকম অনেক আলেম রয়েছেন যারা জালিমের অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন। আর ডক্টর জাকির নায়েক বিশ্বাস করেন একজন জালিম শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে।

দলাদলি আর অনৈক্য আর #মাজহাব প্রসঙ্গে উনি বলেন চারটা মাজহাব এসেছে মুসলিম উম্মাহর কাছে ইসলামকে ব্যাখ্যা করার জন্য। চারটা মাজহাব কোরআন সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত। তারা সব বিষয়ে মতভেদ করেনি। ৯২-৯৫% বিষয়ে সব মাজহাবই একমত। শুধুমাত্র ছোটখাটো কিছু বিষয়ে মতানৈক্য আছে। এসব মতভেদ নিয়ে আমাদের ঝগড়া করা ঠিকনা। চার মাজহাবই বলেছেন আমার মতের বিপরীতে যদি কোন সহীহ দলিল পাও, সেটাই আমার মাজহাব। ইংরেজি "কালার" শব্দের "Color" এবং "Colour" দুটো বানানই ঠিক। ইংরেজি শব্দ "Often" এর উচ্চারন "অফেন" এবং "অফটেন" দুটোই সঠিক। কারন একটা ব্রিটিশ অন্যটা আমেরিকান। কেউ বলেনা ব্রিটিশ উচ্চারন/বানান সঠিক, আমেরিকা ভুল। মাজহাব বিষয়ে অনেক আলেমের সাথে সাক্ষাত ও আলোচনার পরে মাজহাব নিয়ে আমার চিন্তাভাবনা অনেক বড় হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ এটা আল্লাহর রহমত।

যে দেখা যায়, কিছু কিছু মানুষ কয়েকমাস কিছু ফিকহি বিষয়ে পড়ে নিজেকেই সহীহ মনে করে। এটা ভুল চিন্তাচেতনা। আমার মতে "শুধুমাত্র আমার ফিকহি সহীহ, তোমারটা ভুল"-- এই চিন্তা ভুল। মতভেদ থাকবেই। মতভেদ অতীতে ছিলো, সাহাবীদের আমলে ছিলো, ইমামরা মতভেদ করেছে। কিন্তু সবাই অপরের মতকে গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা এসব ছোটখাটো মতভেদ মারামারি করা ঠিক হবেনা। মতভেদ থাকার বিষয়ে আমাদের একমত হতে হবে।

মুসলিম উম্মাহর নিকট আমার অনুরোধ হলো আমাদের মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের উচিত ইমামদের সম্মান করা, স্কলারদের সম্মান করা। এবং সাধ্যমতো কোরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী আমল করা।

মূল ভিডিও;


 

#প্রশ্নঃ আমরা কিভাবে শাসক নির্বাচন করবো? ভোট দেওয়া যাবে?

ডক্টর জাকির নায়েক বলেছেন যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধুমাত্র একজন সফল ধর্মীয় নেতা ছিলেন না, বরং একজন সফল পলিটিকাল নেতাও ছিলেন। এরপর বলেছেন বর্তমানে আমাদের অনেক মুসলিম দেশের নেতা প্র্যাকটিসিং মুসলিম না। অনেকে জামাতের সহিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাযও পড়েন না। এরপরে আমরা যখন কোন দেশের শাসক নির্বাচিত করবো তখন সবচেয়ে খারাপের তুলনায় কম খারাপ শাসককে নির্বাচিত করতে হবে।

তিনি একটা উদাহরন দিলেন। যদি কোন দেশের দুজন শাসকই মুসলিম হন কিন্তু ইসলামকে নিজের জীবনে প্র্যাকটিস করেন না, তবে দুই জনের মধ্যে কোন একজন যদি নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব করে, যদি আশা দেয় ক্ষমতায় আসলে ইসলামের জন্য কাজ করবে, নিজে নামায না পড়লেও যদি বলে মসজিদ মাদ্রাসা তৈরি করবে তবে ইলেকশনে তাকে সিলেক্ট করতে হবে।

তিনি আবার একটা এনালজি দিলেন। মনে করুন দুজন লিডারই মুসলিম। তার মাঝে একজন ২০% ইসলামিক রীতিনীতি ফলো করেন, নির্বাচনে জেতার জন্য ইসলামিক কার্ডকে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। আবার আরেকজন মাত্র ১০% ইসলামিক অনুশাসন ফলো করেন। তবে মুসলিম হিসেবে গর্ববোধ করেন, ভালো কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে আপনাকে যে ১০% ফলো করে তাকে নির্বাচিত করা উচিত।
.

#প্রশ্ন: আমরা মুসলিমরা কেন নির্যাতিত?

উত্তর (ডক্টর জাকির নায়েক) : বর্তমানে আমরা মুসলিমরা দ্বীন থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। যেসব দেশকে আমরা মনেকরি তারা কোরআন-সুন্নাহ কঠোরভাবে অনুসরন করে, আজ তারাই কোরআন সুন্নাহ থেকে দূরে যাচ্ছে। আর তারা কোরআন সুন্নাহ থেকে যত দূরে সরে যাবে ততই তারা অপদস্থ হবে। ইসলামিক দেশ বলার মতো কেন দেশ নেই বললেই চলে। কারন আমরা কেউ একতাবদ্ধ না; বরং আমরা সবাই বিভক্ত। আমরা নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেছি।

বর্তমানে আমরা মুসলিমরা অনেক ধনী। আমাদের ব্ল্যাক গোল্ড, তেল, পেট্রোল সবকিছু আছে। বাট এসব আমরা অযথা কাজে ব্যয় করতেছি। আর যেহেতু আমরা ধনী, আমরা আল্লাহকে ভুলে গেছি। যেসব দেশের কাছে ধনসম্পদ আছে যা তারা আল্লাহর পথে ইসলামের জন্য ব্যয় করার কথা, সেটা তারা ভুল পথে ব্যয় করতেছে। আমার উদাহরন দেওয়ার দরকার নেই কারন পুরো পৃথিবী এই সম্পর্কে জানে।

অতীতে আমরা প্যালেস্টাইন ইস্যুতে সব মুসলিম দেশ এক ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে এমনও মুসলিম দেশ আছে যারা বলে যে ইসরাঈল যে প্যালেস্টাইন দখল করতে চাই সেটাতে কোন প্রোবলেম নাই। আর এটার কারন হলো বর্তমানে আমরা আল্লাহকে ভয় করার পরিবর্তে মানুষকে ভয় করি।

হাঁ, আল্লাহ সবাইকে সবার ক্যাপাসিটির আলোকে বিচার করবে। যদি সবার ক্যাপাসিটি হয় দোয়া করা তবে আমাদের সবার দোয়া করা উচিত। কিন্তু, কারো যদি কথা বলার পাওয়ার থাকে কিন্তু সে অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা না বলে তবে আল্লাহ তার কথা বলার পাওয়া ছিনিয়ে নিবেন। যদি কারো যুদ্ধ করার পাওয়ার থাকে কিন্তু যুদ্ধ না করে তবে আল্লাহ এই পাওয়ার কেড়ে নিবে। এই দ্বীনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট। আল্লাহ এই দ্বীনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের সাহায্য প্রয়োজন মনে করেন না। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন,
তিনিই তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে প্রেরণ করেছেন। যাতে তিনি এটাকে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করতে পারেন। আর স্বাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
(সূরা ফাতাহ, আয়াত ২৮)

হে আল্লাহ, ড. জাকির নায়েকের ইলমে বারাকাহ দান করুন। জালিমের জুলুম থেকে রক্ষা করুন। আমিন।


আমি অবশেষে একটি কথা বলে নিতে চাই তা হলো, আমিও আপনাদের মতোই একজন সাধারণ মানুষ তাই আমারও ভুল থাকতে পারে। তাই আমার লেখায় যদি কোথাও কোনো ভুল পান, হোক সেটা বানান ভুল কিংবা আমার কথা বা মতবাদে কোনো ভুল তাহলে সেটা দয়া করে ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং আমার সেই ভুলটাকে ধরিয়ে দিবেন যেনো আমি পরবর্তীতে ভুলটা শুধরে নিতে পারি।


জাকির নায়েকের বাংলা

জাকির নায়েকের ভাষণ

ডক্টর জাকির নায়েকের

জাকির নায়েকের বাংলা লেকচার

love dr. zakir naik

Dr Zakir Naik 


#zakirnaik #drzakirnaik #dr_zakir_naik #zakir_naik #Muslim #Muslimah #WomensRightInIslam #WomenInIslam #ProudMuslimah #EmpoweredMuslimah #ProudMuslinWomen #IslamTheTruth #TheStraightPath #WomensRight #SpreadTheWord #Peace

#Islam #Quran #WorshipOfGod #WorshipOfAllah #Worship_Of_Allah #SoldierOfAllah #Islam #Soldier_Of_Allah #Ibaadah #FaithBegins #Kalmah #Salaah #Namaaz #Saum #Ramadhan #Zakaat #Hajj #SalaahIsObligatory #FardhSalaah #Fajr  #Dhuhr #Asr #Maghrib #Isha' #Muslim #BeingMuslim #BeingMuslimah #MuslimMan #MuslimWoman #TrueMuslims #ProudToBeMuslim #ImportanceOfSalaah #ImportanceOfNamaaz #Mercy #Peace #Tranquility #Spirituality #FoodForSoul #DeenOverDunya #NeverLeaveSalaah 

No comments

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.