প্রাণীর ফটোগ্রাফী সম্পর্কে শাইখ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ এর ফতোয়া।
প্রাণীর ফটোগ্রাফী সম্পর্কে শাইখ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ এর ফতোয়া
আল-হামদু লিল্লাহি ওয়াহিদা, আস সলাতু ওয়াস সালামু আলা মাল্লা নাবিয়্যী বা’দা।
শায়খ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ বলেন,”তাছওয়ীর” (আরবী শব্দ) বা ফটোগ্রাফি মানে হল জীবন্ত, নড়াচড়া করতে পারে এমন কিছুর ছবি তোলা। যেমন মানুষ, পশু, পাখি ইত্যাদি। কয়েকটি বর্ণনার ভিত্তিতে এর হুকুম হল, এটা হারাম। যেমন:
আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’ঊদ রদিয়াল্লাহু’আনহু বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ “ যাদেরকে শেষ বিচারের দিন আল্লাহ সবচাইতে কঠিন শাস্তি দিবেন তারা হল চিত্রকর”
(বর্ণনায় বুখারী, দেখুন ফাতহুল বারী, ১০/৩৮২)
আবু যার’আহ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন; আমি আবু হুরায়রা (রা:) সাথে মারওয়ানের ঘরে গেলাম। তিনি সেখানে ছবি দেখতে পেয়ে বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি: আল্লাহ তা’আলা বলেন,”যে ব্যক্তি আমার সৃষ্টির অনুরূপ কিছু সৃষ্টি করে, তার থেকে বড় যালিম আর কে হতে পারে? এতই যদি পারে তাহলে সে একটা অণু অথবা একটা গম বীজ অথবা একটি যবের বীজ সৃষ্টি করুক তো দেখি!”
(সহীহ মুসলিম, হাদিস# ৫৩৮০)
আলী রদিয়াল্লাহু’আনহু বলেনঃ “তোমাদেরকে কি আমি সেই একই কাজের জন্য পাঠাবোনা যা আল্লাহর রসূল (সাঃ) আমাকে পাঠিয়েছিলেন? কোন উঁচু কবরকে সমান না করে ছাড়বেনা, এবং কোনো বাড়িতে কোনো ছবি না মুছে ছাড়বেনা”।
( বর্ণনায় মুসলিম ও নাসাঈ; এই ভার্সনটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ)
ইবনে ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, নবী ছল্লাল্লাহু’আলাইহিওয়াছাল্লাম বলেনঃ “প্রত্যেক চিত্রকর জাহান্নামে যাবে, এবং প্রত্যেক চিত্রের জন্য যা সে তৈরি করেছে একটা করে আত্মা তৈরি করা হবে যাকে জাহান্নামের আগুনে শাস্তি দেওয়া হবে।” ইবনে আব্বাস বলেনঃ “যদি তোমাদের তা করতেই হয় তাহলে বৃক্ষ এবং অন্যান্য প্রাণহীন জিনিষের চিত্র তৈরি করো”।
( বর্ণনায় মুসলিম, ৩/১৮৭১)
(আরও কিছু হাদিস: উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা:) আমার কাছে আসলেন। আমি তখন ছবিযুক্ত এটি পর্দা টানাতে ব্যস্ত ছিলাম। তা দেখে তাঁর চেহারার রঙ পরিবর্তন হয়ে গেল। অত:পর তিনি পর্দাটা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেন: কিয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন শাস্তি তাদের হবে যারা আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য তৈরী করে।
(সহীহ মুসলিম, হাদিস, ৫৩৬৩)
ইবনে উমর (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেন: যারা ছবি বানায় ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে আযাব দেয়া হবে আর বলা হবে যেগুলো তোমরা বানিয়েছ, তাতে জীবন দাও।
(সহীহ মুসলিম, হাদিস, ৫৩৭৩)
এই সকল হাদিস ইঙ্গিত করে প্রাণবিশিষ্ট ছবি হারাম, চাই তা মানুষ হোক বা অন্য সৃষ্ট প্রাণী হোক, তা থ্রি-ডিমেনশন হোক বা টু-ডিমেনশন হোক, এবংতা প্রিন্ট করে হোক, হাত দিয়ে অঙ্কন করে হোক, খোদাই করে হোক, ছাপ দিয়ে হোক, ক্ষোদিত করে তৈরি করে হোক, ছাঁচে তৈরি করে হোক, ইত্যাদি। উপরিউক্ত হাদিসগুলো উল্লিখিত সকল ধরণের ছবিকেই শামিল করে।”
শায়খ মুনাজ্জিদ আরো বলেন,”একজন মুসলিমের তার বাড়িতে প্রাণবিশিষ্ট কোনোকিছুরই ছবি রাখা উচিত নয় কারণ তা ফেরেশতাদের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে।
নবী (সাঃ) বলেছেনঃ “সেই বাড়িতে ফেরেশতারা প্রবেশ করেনা যে বাড়িতে কুকুর অথবা ছবি থাকে”।
(বর্ণনায় মুসলিম, দেখুন ফাতহুল বারী, ১০/৩৮০)
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বর্তমান সময়ে যেকেউ কিছু কিছু মুসলিমের বাড়িতে মূর্তি পর্যন্তও খুঁজে পাবে, কাফিররা যাদের পূজা করে (যেমন বুদ্ধা ইত্যাদি), যেগুলোকে তারা (কিছু মুসলিমরা) ঘরে প্রাচীন সংরক্ষণ বা সাজসজ্জা হিসেবে ব্যবহার করে। এইগুলো অন্যান্যর চাইতে আরও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, যেসব ছবি দেয়ালে টানানো হয় সেগুলো না টানানো ছবির চেয়ে আরও বেশী খারাপ, যা খুব সহজেই সম্মান প্রদর্শনের দিকে প্ররোচিত করে, এবং শোঁকের অথবা বড়াইয়ের কারণ হয়। আমরা আসলে বলতে পারিনা যে এসব ছবি স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে রাখা হয় কারণ একজন সত্যিকারের মুসলিমের আত্মীয়ের বা বন্ধুবান্ধবের স্মৃতি থাকে হৃদয়ের মধ্যে এবং আমরা তা স্মরণ করিয়ে দেয় ইবাদতের মাধ্যমে তাদের প্রতি রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনার জন্য।”
আমরা দেখি, বর্তমানে এই ধরণের কাজ অহরহ ঘটে চলছে। যারা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ তাদের কথা বাদ’ই দিলাম। তারা জানে না। কিন্তু যারা ইসলাম জানে তাদের ক্ষেত্রেও যদি এরূপ কাজ প্রকাশ্যে দেখি তখনতো খুব খারাপ লাগে। বিশেষ করে তারা যখন এই তছবিরকে ইসলাম প্রচারের কাজে ব্যবহার করে অথবা ইসলামের শত্রুদের বিরোধীতায় ব্যবহার করে থাকে। আমি দেখেছি, যখন কোথাও ওয়াজ মাহফিল হয়, তখন বক্তার প্রতিমূর্তি সুন্দর করে তুলে তা পোষ্টার, ব্যনারে দেওয়া হয়। আর ইন্টারনেট এর কথাতো বলার অপেক্ষাই রাখে না। বক্তার কোন ওয়াজ পোষ্ট করলে, অথবা, ওয়াজ এর সময়সূচি বলতে গেলে, বা বক্তার পরিচয় দিতে গেলে, বা বক্তাকে কারও কাছে পরিচিত করতে গেলে তখন বক্তার ছবি এটাচ করে দেওয়া হয়। আরও দেখা যায় যে, ইন্টারনেটে নিজেদের/সন্তানদের/আত্মিস্বনদের/বন্ধুবান্ধবদের ছবি প্রচার করা হয়। আরও দেখা যায়, মূর্তি পূজা হারাম, পীর পূজা হারাম এগুলো বলার জন্য তারা মূর্তি, পীর এর ছবিও দিয়ে থাকে। অথচ এই ছবি তোলার এবং প্রচার করার জন্য তাকে কেউ বাধ্য করে নি।
তারা তখন এই ছবিকে জায়েজ করার জন্য যুক্তি দিয়ে থাকে। তা হল,”আমরাতো ছবি অংকন করছি না। আমরা এটা ক্যামেরা দিয়ে তুলেছি মাত্র। আর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলা জায়েজ।”
তাদের এই সকল প্রশ্নের বিপরীতে শায়খ মুনাজ্জিদ বলেন,
“ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হল মানুষের অ্যাকশনের অন্তর্ভুক্ত যেমন রশ্মির প্রতিফলন ঘটানো, শাঁটারে চাপ দেওয়া, প্রিন্টিং, ইত্যাদি। আমরা এটাকে “তাছবীর” (আরবী শব্দ) বা “ছবি তৈরি করা” ছাড়া আর কিছুই বলতে পারিনা যে শব্দটি আরবী ভাষা-ভাষীরা এই কাজকেই বুঝানোর জন্য ব্যবহার করে থাকে। “আল-ই’লাম বি নাকব কিতাব আল-হালাল ওয়াল-হারাম” নামক কিতাবে লেখক বলেছেনঃ “হাতে আঁকা ছবি বা খোদাই করা ছবির চেয়ে ফটোগ্রাফি হল আল্লাহর সৃষ্টির আরো বেশী সাদৃশ, কাজেই ফটোগ্রাফি হারাম হওয়ার আরো বেশী যোগ্যতা রাখে… এমন কিছুই উল্লেখ হয়নি যা সেসব হাদিসের বর্ণনায় অর্থের দিক দিয়ে ফটোগ্রাফের বিষয়কে উহ্য রাখে (পৃষ্ঠা ৪২, আরও দেখুন ফতোয়ায়ে ইসলামিয়া ৪/৩৫৫)।””
অতএব বুঝা গেল যে, ছবি অংকন করা হোক বা ক্যামেরা দিয়ে তোলা হোক, উভয়টি হারাম। আর এর প্রধান কারণ হল, তা আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করা।
ওলামায়ে কেরামদের যারা ফটোগ্রাফের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন তাদের একজন হলেন শাইখ নাসিরউদ্দিন আল-আলবানী, যিনি বলেছেনঃ
“কেউ কেউ হাতে আঁকা ছবি এবং ফটোগ্রাফের ছবির মধ্যে এভাবে পার্থক্য করেছেন যে, আধুনিকতা মানুষের কষ্টে গড়া কোনো সৃষ্ট বস্তু নয় এবং এটা ছবিকে ধারণ করার চেয়ে বেশী কিছু নয়। এটাই তারা দাবি করেন। তাদের মতে সেই ব্যাক্তিটিই সবচেয়ে বেশী কষ্ট করেছেন যিনি এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন যা সেকেন্ডের ভেতরেই কাজ করে, তা না হলে এটা ঘণ্টার ভেতরেও করা সম্ভব হত না যেটি মূলত মানুষের বল প্রয়োগের বা কষ্টের কিছু বলে বিবেচিত নয়। ক্যামেরায় পয়েন্ট করা, ফোকাস করা, এবং ছবি তোলা যা সবই ফিল্মের ধারণকৃত কাজ এবং উন্নয়নের অগ্রগতি এবং আরো কিছু যা আমি হয়ত আর জানিনা…তাদের মতে এগুলোর কোনো কিছুই মানুষের কষ্টের ফল নয়।
কিভাবে ফটোগ্রাফি করা হয় সে বিষয়ে কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন এবং সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন যেটি হল, ছবি তোলার কাজে অন্তর্ভুক্ত ধাপগুলো ১১টির চেয়ে কম নয়। তা সত্ত্বেও তারা বলেন ক্যামেরায় তোলা ছবি মানুষের কোনো কর্মশক্তির প্রয়োগে হয় না। তাহলে মানুষের কোন ছবি ওয়ালে ঝুলানো কি জায়েজ হবে, যেমন উদাহরণস্বরূপ হাত দিয়ে না একে যদি ফটোগ্রাফের মাধ্যমে তোলা হয়?
যারা ফটোগ্রাফিকে জায়েজ বলেছেন তারা “তাছবীর” শব্দটাকে এক্ষেত্রে উহ্য রেখেছেন এবং ওটা রসূল ছল্লাল্লাহু’আলাইহি ওয়াছাল্লামের সময়ে যা ছিলো শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই প্রয়োগ করেছেন এবং প্রতিটি অর্থগত দিক দিয়ে যেমন ভাষাগত দিক দিয়ে, আইনগত দিক দিয়ে, এর ক্ষতিকর প্রভাবের দিক দিয়ে, এবং উপরে পরিষ্কারভাবে বর্ণিত বিষয়ের দিক দিয়ে তারা এই “তাছবীর” বা “ছবি তৈরি করা” শব্দটি প্রয়োগ করেননি।
কয়েক বছর আগে আমি একজনকে বলেছিলাম যে, (ফটোগ্রাফের) এই একই নীতিমালা থেকে তুমি প্রতিমা/মূর্তিকে হালাল হিসেবে ধরতে পারো যা হাত দিয়ে গড়া হয়নি কিন্তু মেশিনের সাহায্যে স্যুইচ টিপে সহজেই তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে তুমি কি বলবে? (আদাব আল- জাফাফ, লেখকঃ আল আলবানী, পৃষ্ঠা ৩৮)।”
শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানী এখানে যে একটি উদাহরণ দিয়েছেন তা সত্যিই চমতকার এবং তাতপর্যপূর্ণ উদাহরণ। সত্যসন্ধানীদের জন্য এই একটি উদাহরণই যথেষ্ট। তা এই যে, ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলাকে যারা জায়েয বলেছেন তাদের সেই একই নীতিমালা দিয়ে প্রতিমা/মূর্তি বানানোকে জায়েজ করা। আবার যারা বলে ক্যামেরা দিয়ে আলোকরশ্নি মাধ্যমে আলোটিকে ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে, তাদের জন্য উত্তর হবে, তারাতো আরো খারাপ কাজ করছেন। কেননা, ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললে মানে আলোকরশ্নি মাধ্যমে আলোটিকে ক্যামেরাবন্দি করলে প্রাণীর চেহারা যেভাবে আছে হুবহু (কিছুটা +-) ক্যামেরা বন্ধি হয়। যা আল্লাহ ত’আলার সৃষ্টির আরো সাদৃশ্য হয়। আর তাদের জন্য আল্লাহ তা’আলা বলেন,” যে ব্যক্তি আমার সৃষ্টির অনুরূপ কিছু সৃষ্টি করে, তার থেকে বড় যালিম আর কে হতে পারে? এতই যদি পারে তাহলে সে একটা অণু অথবা একটা গম বীজ অথবা একটি যবের বীজ সৃষ্টি করুক তো দেখি!” (সহীহ মুসলিম)
কিছু কিছু ওলামাদের এই মতটাও বেশ সুপরিচিত যারা ফটোগ্রাফকে জায়েজ বলেছেন কিন্তু তারা এও বলেছেন যে ছবি সংরক্ষণের জন্য রেখে দেওয়া যাবেনা। তারা বলেনঃ “সেই ঘরে ফেরেশতা আসেনা যে ঘরে কুকুর বা ছবি থাকে (দেখুনঃ আল-শরহে আল-মুমতি, ২/১৯৮)।”
শায়খ মুনাজ্জিদ বলেন,”ছবি তোলার মধ্যে অনেক খারাপ দিক নিহিত রয়েছে। আল্লাহর সৃষ্টির সাদৃশ্যতার পাশাপাশি অনেক খারাপ দিক আছে যা তাদের অনেকেই (যারা ছবি তৈরি করে) প্রত্যাখ্যান করে যা বাস্তবতাই সাক্ষ্য দেয় যা হল এসব ছবি ও ছবি তৈরির মাধ্যমে আজকালকার নৈতিকতার চরম অবক্ষয় ঘটছে ও মনের কুবাসনা চরিতার্থ করছে। আমাদের অবশ্যই সকল ছবি মুছে ফেলা উচিত বা নষ্ট করে ফেলা উচিত শুধুমাত্র সেসব পরিস্থিতি ছাড়া যা মুছা বা নষ্ট করা অতিরিক্ত কষ্টকর বা অসম্ভবপর যেমন খাবারের প্যাকেটের উপর ছবি অথবা মহাকোষের (Encyclopedia) ছবি অথবা রেফারেন্স বইয়ের ছবি, ইত্যাদি। আমাদের সকল ছবিই মুছে ফেলা উচিত যা আমাদের সাধ্যের মধ্যে আছে এবং আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সতর্ক থাকতে হবে উত্তেজনা বা প্ররোচনা মূলক ছবিগুলোর ব্যাপারে যা যেখানেই পাওয়া যাবে। কাজেই, আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালন করো এবং যথাসাধ্য তাকে ভয় করো…। (সুরা আল-তাগাবুন ৬৪ঃ ১৬)
যেসব ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফ অতি প্রয়োজনীয় সেগুলো জায়েজ যেমন পরিচয়পত্রের জন্য (identity document) অথবা ক্রিমিনাল ধরার জন্য পোস্টারে ছাপানো অথবা শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে যদি তা একেবারে বাধ্যতামূলক করা হয়, ইত্যাদি। শরীয়তের একটি মূলনীতি হল যা অতি জরুরী বিষয় তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।”
এক্ষেত্রে দলিল হল, ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: আমার উদ্দেশ্যে আল্লাহ আমার উম্মাতের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি ও ভুল ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তার সে কাজ যা সে করতে বাধ্য হয়েছে।
(ইবনে মাজাহ/২০৪৮; বায়হাকী/৭; হাসান)
আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।
শায়খ মুনাজ্জিদ এর ফতোয়া দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।
আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার পাপাচার থেকে হেফাজত করুক, হারাম কে হারাম জানার এবং হালালকে হালাল জানার বুঝ দান করুক।
No comments