বিয়ের ক্ষেত্রে নারী নিজেই পুরুষকে বিবাহর প্রস্তাব দেওয়া সুন্নত।

 



বিয়ের ক্ষেত্রে নারী নিজেই পুরুষকে বিবাহর প্রস্তাব দেওয়া সুন্নত।



কোন মেয়ে কোন ছেলের দ্বীনদারিতায় মুগ্ধ হয়ে নিজেই বাসায় অভিভাবককে সে পাত্রকে বিয়ের আগ্রহ জানালে, তাকে বেহায়া ভাবা হয়।
অথচ এমন ব্যাপার শরীয়তে হাইলি এপ্রিশিয়েট।

হজরত খাদিজা (রা.) , রাসুল (ﷺ) এর দ্বীনদারিতায় মুগ্ধ হয়ে নিজেই তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

তাছাড়াও, হযরত তাবিত আল-বানানী বর্ণনা করেছেন, আমি আনাসের সাথে ছিলাম এবং তার সাথে তার এক মেয়ে ছিল । আনাস বলেনঃ একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে তাকে নিজের জন্য (বিবাহের জন্য) প্রস্তাব দিলেন।

মেয়েটি বলল, হে আল্লাহর রসূল, আপনার কি আমাকে স্ত্রী হিসেবে প্রয়োজন আছে ? (অন্য বর্ণনায়, 'ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি আমাকে বিয়ে করে নিন')
সরাসরি প্রস্তাব।

আনাস কন্যা বললঃ ছি ! মেয়েটার বিনয়ের কত অভাব ! কত বেহায়া সে ! কত লজ্জাজনক ! আনাস বলল, সে বরং তোমার চেয়ে ভাল; সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বিয়ে করতে চেয়েছে, তাই নিজের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। [বুখারী, হাদিস ৪৮২৮]

পরহেজগার সেই মেয়ে নিজে থেকেই পিতার কাছে মুসা (আঃ) কে বিয়ে করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
[সূরা কাসাসঃ২৬-২৭]

আল-মাওসু আল-ফিকহিয়াহ (৩০/৫০) এ বলেছেন: একজন পুরুষের ধার্মিকতা, সদগুন এবং সম্মানজনক অবস্থানের কারনে বা ধর্মের প্রতি অনুরাগ দেখে তাকে বিয়ে করার জন্য একজন মেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলে এতে দোষের বা লজ্জাজনক কিছুই নেই; বরং এটি তার এক ধরণের উত্তম গুণ।
বিয়ের ক্ষেত্রে নারী নিজেই পুরুষকে বিবাহর প্রস্তাব দেওয়া সুন্নত।

কারণ মা খাদিজা (রা.) রাসুল (ﷺ) কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন নিজেই!! অবশ্যই রাসুল কারীম (ﷺ)
এর চরিত্র উত্তম ছিলেন, ওনার আখলাক দেখে দ্বিনদারি দেখে প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তাই লজ্জা নয়।উত্তম চরিত্র,পরহেজগার পুরুষকে নারী বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে অবশ্যই।

No comments

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.