আল্লাহর সাথে শরীক করা মহাপাপ।
আল্লাহর সাথে শরীক করা মহাপাপ
[সুরা-নিসা-৪৮, সংক্ষিপ্ত তফসীর]
------------------------------------------------
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
------------------------------------------
আল্লাহ তাআলা বলেন-
-----
"নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক [১] করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া
অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন। [২]
আর যে-ই আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে এক মহাপাপ রটনা করে।"
___________[সুরা-নিসা, আয়াত-৪৮]_________
~~~
৪৮ নং আয়াতের তফসীর-
[১] আয়াতে আল্লাহ্ তা’আলার সত্তা ও গুণাবলী সম্পর্কে যেসব বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে,
যে কোন সৃষ্ট বস্তুর ব্যাপারে তেমন কোন বিশ্বাস পোষণ করাই হল শির্ক।
অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোন সৃষ্ট বস্তুকে ইবাদাত কিংবা মহব্বত
ও সম্মান প্রদর্শনে আল্লাহর সমতুল্য মনে করাই শির্ক।
জাহান্নামে পৌঁছে মুশরিকরা যে উক্তি করবে, আল্লাহ তা’আলা তা উল্লেখ করেছেন যে,
“আল্লাহর শপথ, আমরা প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত ছিলাম যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনকর্তার সমতুল্য স্থির করেছিলাম।”
[সূরা আশ-শু’আরাঃ ৯৭-৯৮]
~~~
এখানে এটা জানা আবশ্যক যে, যুলুম ও অবিচার তিন প্রকার।
এক প্রকার যুলুম যা আল্লাহ্ তা’আলা কখনো ক্ষমা করবেন না।
দ্বিতীয় প্রকার যুলুম যা মাফ হতে পারে।
আর তৃতীয় প্রকার যুলুমের
প্রতিশোধ আল্লাহ তা’আলা না নিয়ে ছাড়বেন না।
-
প্রথম প্রকার যুলুম হচ্ছে শির্ক,
দ্বিতীয় প্রকার আল্লাহর হকে ক্রটি করা এবং
তৃতীয় প্রকার বান্দার হক বিনষ্ট করা।
[ইবন কাসীর]
~~~
এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, তিঁনি তার সাথে শির্ক করাকে ক্ষমা করবেন না।
এর বাইরে যত গোনাহ আছে সবই তিনি যার জন্যে ইচ্ছে ক্ষমা করে দিবেন।
আর যে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে সে অবশ্যই এক বড় মিথ্যা অপবাদ রটনা করল।
অন্য আয়াতে অবশ্য আল্লাহ তা’আলা শির্ককারীদের মধ্যে
যারা তাওবা করবে তাদেরকে ক্ষমা করার কথা ঘোষণা করেছেন।
আল্লাহ বলেন,
“আর যারা আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডাকে না, ...তবে যদি তারা তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে”
[সূরা আল-ফুরকান:৭০]
সুতরাং তাওবাহ্ করলে শির্কও মাফ হয়ে যায়।
~~~
[২] আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ
আমরা কবীরা গোনাহকারীর জন্য ইস্তেগফার করা থেকে বিরত থাকতাম।
শেষ পর্যন্ত যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে
এ আয়াত শুনলাম এবং আরো শুনলাম যে, তিঁনি বলছেনঃ
‘আমি আমার দো’আকে গচ্ছিত রেখেছি আমার উম্মতের কবীরা গোনাহ্গারদের সুপারিশ করার জন্য।'
ইবন উমর বলেনঃ
এরপর আমাদের অন্তরে যা ছিল, তা অনেকটা কেটে গেল,
ফলে আমরা ইস্তেগফার করতে থাকলাম ও আশা করতে থাকলাম।
[মুসনাদে আবি ইয়া'লাঃ ৫৮১৩]
________[তফসীর আবু বকর যাকারিয়া]_______
No comments