শিরিক থেকে বাঁচার উপায়

 


শিরিক থেকে বাঁচার উপায়


উত্তর দিয়েছেন

মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী

খতিব, পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদ, গুলিস্তান, ঢাকা

মুহাম্মদ রুবায়েত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রশ্ন : আমি মাঝে মাঝে কল্পনার রাজ্যে কিছু শিরিক বিষয় বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের পাপে জড়িয়ে পড়ি। পরে মনে মনে খুবই অনুতপ্ত হই এবং কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়ি। এ থেকে বাঁচার উপায় কী?

উত্তর : কখনো কখনো শয়তান মানুষকে শিরিকের বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারের কল্পনায় ডুবিয়ে দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, নবি কারিম (সা.) এরশাদ করেন, শয়তান বলে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? অতঃপর তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি বলে, তোমাদের প্রভুকে কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহর রাসূল (সা.) এরূপ কল্পনা মনে এলে তা থেকে উত্তরণের পথ বলে দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম’। এটা পড়া এবং শিরিকের কল্পনা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা। এটা সবার জন্যই শিরকের কল্পনা থেকে বাঁচার ওষুধ। বিশেষভাবে যখনই মনের মাঝে কোনো কুফরি ও শিরিকের কথা আসবে আউজুবিল্লাহ পড়ব। নিজেকে সব সময় এ ভ্রান্ত কল্পনা থেকে দূরে রাখব। শয়তানি কুমন্ত্রণার দিকে মনোযোগী হব না। এ ছাড়া সব সময় পবিত্র অবস্থায় থাকব এবং নামাজ গুরুত্বসহকারে পড়ব। এটা পরম সত্য যারা নামাজের গুরুত্ব দেয় না, তারা পবিত্রতার প্রতি মনোযোগী কম হয়। মনে রাখবেন, শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। নাপাকি অবস্থায় থাকা মানুষদের বেশি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে শয়তান। তাই সব সময় পবিত্র থাকার চেষ্টা করব।

তথ্যসূত্র : (আল কুরআন, সূরা বাকারা, আয়াত নং-২০৮) (বুখারি শরিফ, হাদিস নং-৩২৭৬) (কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭৬)

আমি অবশেষে একটি কথা বলে নিতে চাই তা হলো, আমিও আপনাদের মতোই একজন সাধারণ মানুষ তাই আমারও ভুল থাকতেই পারে। তাই আমার লেখায় যদি কোথাও কোনো ভুল পান, হোক সেটা বানান ভুল কিংবা আমার কথা বা মতবাদে কোনো ভুল তাহলে সেটা দয়া করে ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং আমার সেই ভুলটাকে ধরিয়ে দিবেন যেনো আমি পরবর্তীতে ভুলটা শুধরে নিতে পারি।

No comments

Theme images by duncan1890. Powered by Blogger.